বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। আজ রবিবার (১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিবাসী কর্মীরা এর আগের বছরের (২০২১ সাল) ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১-১৬ ডিসেম্বর) দেশে প্রবাসী আয় এসেছিলো ৯৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রবাসী আয়ে যে মন্দার ধারা ছিল, তা কিছুটা কমে এসেছে। এ জন্য মাসের শেষে মোট আয় ২শ কোটি ডলার ছোঁয়ার আশা করেছিলেন ব্যাংকাররা। গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসেই প্রবাসী আয় ১৬০ কোটি ডলারের নিচে ছিল। এর আগের দুই মাস প্রবাসী আয় অবশ্য ২শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন বছরে একটি পরিবারের নানা ধরনের বাড়তি খরচ যুক্ত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খরচ এগুলোর অন্যতম। এই কারণে চলতি মাসে অনেকে পরিবারের জন্য বাড়তি ডলার পাঠাচ্ছেন। আবার অবৈধ পথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামে পার্থক্য কমে আসাতেও বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।
ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১০১ টাকা। আর প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো একে অপরের কাছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দামে ডলার বিক্রি করছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি স্টার
Leave a Reply